বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
দিদার এলাহী সাজু, নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের বাহুবলে পোকার আক্রমণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বোরো বীজতলা। ফলে বোরো চাষের সমূহ ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি ভাবে ধানের চারা সরবরাহের প্রত্যাশা করছেন বোরো চাষিরা।
কৃষি অফিস ও কৃষকসূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে আটহাজার আটশ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী মাসখানেক আগে চাষিরা বীজতলা প্রস্তুত করে বীজ রোপণ করেছেন। সম্প্রতি বোরো বীজতলা গুলোতে একপ্রকার বাদামী ঘাসফড়িং এর আক্রমণ শুরু হয়। বি.পি.এইচ নামের ওই ফড়িংগুলো ধানচারার পাতাগুলোকে খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে চাষীরা বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ছিটানোর ফলে ফড়িং এর আক্রমণ থেকে বীজতলা কিছুটা রক্ষা পায়। তবে পোকার আক্রমণে ধান চারাগুলো রোগাক্রান্ত হওয়ায় নতুন পাতা গজাচ্ছে না। ইতোমধ্যে রোপণকৃত চারার মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বাহুবল উপজেলার গুঙ্গিয়াজুরি হাওরাঞ্চলের বোরো চাষ।
স্নানঘাট গ্রামের বোরো চাষী জসীমউদ্দীন জানান, ঘাসফড়িং এর আক্রমণে রোগাক্রান্ত চারা জমিতে রোপণ করলে ফলন হবে নিম্নমুখী।
লালপুর গ্রামের রবীন্দ্র দাস, বাগদাইর গ্রামের হরমুজ মিয়া, স্বস্তিপুর গ্রামের দেলোয়ার মিয়া, অমৃতা গ্রামের আফিলউদ্দীনসহ আরো অনেকেই এ প্রতিনিধিকে জানান বি.পি.এইচ পোকার আক্রমণে বোরো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ধান চারার সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে রোপণের জন্য প্রস্তুতকৃত শ’ শ’ একর বোরো জমিতে ধান উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
স্নানঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম ও সাতকাপন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আবদাল মিয়া জানান, এলাকার সিংহভাগ কৃষক বোরো চাষের উপর নির্ভরশীল। বি. পি.এইচ এর আক্রমণ বোরো বীজতলার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। কৃষকদের এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকার কর্তৃক মানসম্পন্ন ধানের চারা সরবরাহ করা জরুরী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, বি.পি.এঈচ পোকার আক্রমণ রোধে কর্মকর্তাগণ সবসময় কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। চারায় নতুন পাতা গজানোর পর রোপণ করলে ফলনে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না।
তিনি আরো জানান, পার্শ্ববর্তী উপজেলার বোরো বীজতলাগুলোতেও বি.পি.এইচ এর আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে এর প্রভাব এখানেও পড়েছে।